Date - February 14, 2018 (known as the so-called World Love Day)
Without eating in the morning, with the intention of going to the government office for an urgent work, I floated in the sea of people ...
Surprisingly, it is true that at a time when students were supposed to be on the streets in school / college uniforms, it is as if the national uniform is standing only in the middle of a red or blue sari or salwar kameez ...
The sun has risen in the heart of the city, I am counting the traffic jams through the bus windows, and I am breathing in the dusty tide of development of the digital city ...
About a couple of hours later, at the traffic signal of Priya Shahbag, our bus stopped at the ad break of Eid drama, then I realized that on the day of love, the wave of love of the tidal generation is telling me to go back to my address (Mirpur) ...
Akash Kusum What is the matter with worries and doubts, at that time the respected conductor came and said- where did Mama get up from?
I- from Mirpur ...
Conductor- (with a 5 taka note pointing at me from the fuck of his finger) I will not go to the car anymore Mama, the road in front is closed ... turn the car around here, Mirpur at once ...
I- Can't the car go in front? Conductor: Hey, Mama, it's not Valentine's Day, that's what the procession is all about.
I- Mama, then drive the car with me, you will take me to Mirpur too, I am the only person in the midst of so much love, I am the only one who is scared ...
Conductor- (laughs) So let's go Mama ...
The car turned, the car parked in front of the PG Hospital, waiting for the passenger to get up, sitting quietly and relaxing, thinking that it would be really good to smoke a cigarette now, but I don't know if it would be right to get off the bus. There are people, I went to ask the driver, how long will the bus stop here, go to the driver's seat and see, there is no driver in the car, the bus door The conductor was bowled brilliantly to the side of the road stand the sight of cigarettes tanatese, oversized uncle asked what happened, the driver where?
The conductor smiled again and said that the driver had gone to explain the "account of the day" of the police sergeant at the bus stand ...
Anyway, I got off the bus and took a cigarette. A little boy came and grabbed my shirt and said, "Sir, take 1 flower, at a glance I saw 9 roses in his plastic bucket ..."
I am silently counting roses, smoking cigarettes, and thinking, I am the only one who knows how incongruous the rose in my hand is ...
Suddenly, a terrifying beauty stood by, wearing a turquoise sari, sunglasses on her hair, a glass bangle in her hand, open hair, a black bag on her shoulder ...
She is buying roses at a bargain price with the baby and I look at her in amazement ... I wonder why a boy wearing a yellow Punjabi would come and stand behind her and call her "Rupa" ...
Unbeknownst to me, every boy wants to be Himu at least once, for a silver ...!
Anyway, the cigarette is gone, the driver has arrived, I got on the bus, I look out the window of the bus seat again, I see that silver road is crossing, and I am looking for Himu around him again and again ...
The bus left, Rupa passed, Himu was just stuck in his head ...
I closed my eyes ...
Putting on the yellow Punjabi, I sat on the bank of the peacock with 5 blue lotuses in my hand ...
I'm back,
At the address left,
Once, repeatedly,
In the embrace of the moment,
With a bunch of white storks on his chest,
In the heat of the urban street pitch heat,
Tired, sad to return home,
Wrapped in the shroud of love,
Five blue lotuses ...
Be kind, be in love ..
তারিখ - ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ (তথাকথিত বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে পরিচিত)
সকাল সকাল খেয়ে না খেয়ে, জরুরী এক কাজে সরকারী অফিসে যাবার নিয়ত্যে, জনসমুদ্রে গা ভাসালাম...
অবাক করা হলেও সত্য, যেই সময়ে স্কুল কলেজের ড্রেস/ইউনিফর্ম পরে ছাত্র ছাত্রীদের রাস্তায় থাকার কথা, সেই জায়গায় আজ যেন জাতীয় ইউনিফর্ম দাড়িয়েছে শুধুমাত্র লাল কিংবা নীল রঙের শাড়ি অথবা সালোয়ার কামিজের মাঝেই...
শহরের বুকে রোদ উঠে গেছে, বাসের জানালা দিয়ে জায়গায় জায়গায় ট্রাফিক জ্যামের গাড়ি গুনছি, আর ডিজিটাল নগরীর উন্নয়নের ধূলার জোয়ারে ধুকে ধুকে শ্বাস নিচ্ছি...
প্রায় ঘন্টা দুয়েক সময় পেরিয়ে যখন প্রিয় শাহাবাগের ট্রাফিক সিগন্যালে, আমাদের বাস ঈদ নাটকের বিজ্ঞাপন বিরতিতে দাড়ালো, তখন বুঝতে পারলাম ভালোবাসা দিবসের, উত্তাল জোয়ারমুখী প্রজন্মের ভালোবাসার ঢেউ আমাকে আবার নিজ ঠিকানাতেই(মিরপুরেই) ফিরে যেতে বলছে...
আকাশ কুসুম দুশ্চিন্তা আর সংশয় নিয়ে ভাবছি কি ব্যাপার, এমন সময় শ্রদ্ধেয় কন্ডাক্টার এসে বললেন- মামা কই থেকে উঠসেন?
আমি- মিরপুর থেকে...
কন্ডাক্টর- (হাতের আঙুল এর ফাক থেকে আমার দিকে ৫ টাকার নোট আগায় দিয়ে) গাড়ি আর যাইবো না মামা, সামনে রাস্তা বন্ধ... এখান থেইক্কাই গাড়ি ঘুরামু, একবারে মিরপুর...
আমি- সামনে হইসে কি গাড়ি যাবেনা ক্যান? কন্ডাক্টর- আরে মামা আইজ ভালোবাসা দিবস না, সেইটারই মিছিল হইতাসে, আর কি সব পোরগাম...
আমি- মামা, গাড়ি তাহলে আমারে সহই ঘুড়ান, আমারেও মিরপুরেই নিয়া চলেন আপনি, এতো ভালোবাসার মাঝে আমি একা মানুষ, একা একা ভয় লাগতাসে আমার...
কন্ডাক্টর- (ফিক করে হেসে দিয়ে) তাই চলেন মামা...
গাড়ি ঘুরলো, পিজি হাসপাতালের সামনে এসে গাড়ি দাঁড়ানো, প্যাসেঞ্জার উঠার অপেক্ষায়, চুপচাপ ঝিম মেরে বসে ভাবছি একটা সিগারেট খাওয়া গেলে সত্যি অনেক ভালো হতো এখন, কিন্তু বাস থেকে নামা ঠিক হবে কিনা বুঝতেসিনা, তবু অগোছালো ভাবে আগালাম, বাসের সব মিলায় তখন ১০/১২ মানুষ আছে, ড্রাইভার কে জিজ্ঞেস করতে গেলাম, বাস কতক্ষন দাঁড়াবে এখানে, ড্রাইভারের সিটের কাছে গিয়ে দেখি, ড্রাইভার নাই গাড়িতে, বাসের দরজার কাছে দাড়াতেই চোখে পড়লো কন্ডাক্টর রাস্তার পাশে দাঁড়ায় সিগারেট টানতেসে, জিজ্ঞেস করলাম- মামা কি হইসে, ড্রাইভার কই?
কন্ডাক্টর আবারো মুচকি হেসে জানালো, ড্রাইভার অত্র বাস স্ট্যান্ডের পুলিশ সার্জেন্ট এর "দিনের হিসাব" বুঝায় দিতে গেছে...
যাইহোক এই সুজোগে বাস থেকে নেমে সিগারেট ধরালাম, ছোট একটা বাচ্চা ছেলে এসে শার্ট ধরে টেনে বললো, স্যার ১টা ফুল নিবেন, এক নজরেই গুনে দেখা গেলো ৯টা গোলাপ তার প্লাস্টিকের বালতিতে...
আমি নি:শব্দে গোলাপ গুনছি,সিগারেট টানছি, আর ভবছি, আমার হাতে গোলাপ ফুল কতটা বেমানান লাগে তা শুধু একমাত্র আমিই জানি...
হটাত পাশে এসে, একজন ভয়ানক সুন্দরী দাড়ালেন, ফিরোজা রঙের তাতের শাড়ি, চুলের উপর সানগ্লাস, হাতে কাচের চূড়ি, খোলা চুল, কাধে কালো রঙের ব্যাগ...
বাচ্চাটার সাথে দরদাম করে উনি গোলাপ কিনছেন আর আমি অবাক হয়ে ওনাকে দেখছি... অজান্তেই কেন যেন বারবার মনে হচ্ছিলো এই বুঝি হলুদ পাঞ্জাবী পরা একটা ছেলে এসে ওনার পিছে দাঁড়াবে, আর ওনাকে ডাক দিবে "রুপা" বলে...
অবাক করা হলেও সত্য, যেই সময়ে স্কুল কলেজের ড্রেস/ইউনিফর্ম পরে ছাত্র ছাত্রীদের রাস্তায় থাকার কথা, সেই জায়গায় আজ যেন জাতীয় ইউনিফর্ম দাড়িয়েছে শুধুমাত্র লাল কিংবা নীল রঙের শাড়ি অথবা সালোয়ার কামিজের মাঝেই...
শহরের বুকে রোদ উঠে গেছে, বাসের জানালা দিয়ে জায়গায় জায়গায় ট্রাফিক জ্যামের গাড়ি গুনছি, আর ডিজিটাল নগরীর উন্নয়নের ধূলার জোয়ারে ধুকে ধুকে শ্বাস নিচ্ছি...
প্রায় ঘন্টা দুয়েক সময় পেরিয়ে যখন প্রিয় শাহাবাগের ট্রাফিক সিগন্যালে, আমাদের বাস ঈদ নাটকের বিজ্ঞাপন বিরতিতে দাড়ালো, তখন বুঝতে পারলাম ভালোবাসা দিবসের, উত্তাল জোয়ারমুখী প্রজন্মের ভালোবাসার ঢেউ আমাকে আবার নিজ ঠিকানাতেই(মিরপুরেই) ফিরে যেতে বলছে...
আকাশ কুসুম দুশ্চিন্তা আর সংশয় নিয়ে ভাবছি কি ব্যাপার, এমন সময় শ্রদ্ধেয় কন্ডাক্টার এসে বললেন- মামা কই থেকে উঠসেন?
আমি- মিরপুর থেকে...
কন্ডাক্টর- (হাতের আঙুল এর ফাক থেকে আমার দিকে ৫ টাকার নোট আগায় দিয়ে) গাড়ি আর যাইবো না মামা, সামনে রাস্তা বন্ধ... এখান থেইক্কাই গাড়ি ঘুরামু, একবারে মিরপুর...
আমি- সামনে হইসে কি গাড়ি যাবেনা ক্যান? কন্ডাক্টর- আরে মামা আইজ ভালোবাসা দিবস না, সেইটারই মিছিল হইতাসে, আর কি সব পোরগাম...
আমি- মামা, গাড়ি তাহলে আমারে সহই ঘুড়ান, আমারেও মিরপুরেই নিয়া চলেন আপনি, এতো ভালোবাসার মাঝে আমি একা মানুষ, একা একা ভয় লাগতাসে আমার...
কন্ডাক্টর- (ফিক করে হেসে দিয়ে) তাই চলেন মামা...
গাড়ি ঘুরলো, পিজি হাসপাতালের সামনে এসে গাড়ি দাঁড়ানো, প্যাসেঞ্জার উঠার অপেক্ষায়, চুপচাপ ঝিম মেরে বসে ভাবছি একটা সিগারেট খাওয়া গেলে সত্যি অনেক ভালো হতো এখন, কিন্তু বাস থেকে নামা ঠিক হবে কিনা বুঝতেসিনা, তবু অগোছালো ভাবে আগালাম, বাসের সব মিলায় তখন ১০/১২ মানুষ আছে, ড্রাইভার কে জিজ্ঞেস করতে গেলাম, বাস কতক্ষন দাঁড়াবে এখানে, ড্রাইভারের সিটের কাছে গিয়ে দেখি, ড্রাইভার নাই গাড়িতে, বাসের দরজার কাছে দাড়াতেই চোখে পড়লো কন্ডাক্টর রাস্তার পাশে দাঁড়ায় সিগারেট টানতেসে, জিজ্ঞেস করলাম- মামা কি হইসে, ড্রাইভার কই?
কন্ডাক্টর আবারো মুচকি হেসে জানালো, ড্রাইভার অত্র বাস স্ট্যান্ডের পুলিশ সার্জেন্ট এর "দিনের হিসাব" বুঝায় দিতে গেছে...
যাইহোক এই সুজোগে বাস থেকে নেমে সিগারেট ধরালাম, ছোট একটা বাচ্চা ছেলে এসে শার্ট ধরে টেনে বললো, স্যার ১টা ফুল নিবেন, এক নজরেই গুনে দেখা গেলো ৯টা গোলাপ তার প্লাস্টিকের বালতিতে...
আমি নি:শব্দে গোলাপ গুনছি,সিগারেট টানছি, আর ভবছি, আমার হাতে গোলাপ ফুল কতটা বেমানান লাগে তা শুধু একমাত্র আমিই জানি...
হটাত পাশে এসে, একজন ভয়ানক সুন্দরী দাড়ালেন, ফিরোজা রঙের তাতের শাড়ি, চুলের উপর সানগ্লাস, হাতে কাচের চূড়ি, খোলা চুল, কাধে কালো রঙের ব্যাগ...
বাচ্চাটার সাথে দরদাম করে উনি গোলাপ কিনছেন আর আমি অবাক হয়ে ওনাকে দেখছি... অজান্তেই কেন যেন বারবার মনে হচ্ছিলো এই বুঝি হলুদ পাঞ্জাবী পরা একটা ছেলে এসে ওনার পিছে দাঁড়াবে, আর ওনাকে ডাক দিবে "রুপা" বলে...
মনের অজান্তেই প্রতিটা ছেলেরই বুঝি একবার হলেও হিমু হতে ইচ্ছা করে, একজন রুপার জন্য...!
যাইহোক, সিগারেট শেষ, ড্রাইভার এসে পরেছে, আমি বাসে উঠলাম, বাসের সিটের জানালায় আবারো চোখ রেখে দেখি, সেই রুপা রাস্তা পার হচ্ছে, আর আমি যেন ঘোরের মাঝেই বার বার তার আশেপাশে শুধু হিমুকেই খুজছি...
বাস ছেড়ে দিলো, রুপা পেরিয়ে গেলো, মাথার ভেতর শুধু আটকে থাকলো হিমু...
আমি চোখ বন্ধ করলাম...
হলুদ পাঞ্জাবীটা গায়ে তুলে, ৫টা নীলপদ্ম হাতে বসে পরলাম ময়ুরাক্ষীর তীরে...
হলুদ পাঞ্জাবীটা গায়ে তুলে, ৫টা নীলপদ্ম হাতে বসে পরলাম ময়ুরাক্ষীর তীরে...
আবারো ফিরে এলাম,
ফেলে যাওয়া ঠিকানায়,
একবার, বারবার,
মুহুরতের আলিংগনে,
জীবনান্দের এক ঝাক শুভ্র সারস বুকে রেখে,
শহুরে রাস্তার পিচ তাপের গোলকধাধায়,
ক্লান্ত, বিশাদ ঘরে ফেরার দেহে,
মমতার কাফনে জড়িয়ে থাকা,
পাঁচটি নীল পদ্ম...
ফেলে যাওয়া ঠিকানায়,
একবার, বারবার,
মুহুরতের আলিংগনে,
জীবনান্দের এক ঝাক শুভ্র সারস বুকে রেখে,
শহুরে রাস্তার পিচ তাপের গোলকধাধায়,
ক্লান্ত, বিশাদ ঘরে ফেরার দেহে,
মমতার কাফনে জড়িয়ে থাকা,
পাঁচটি নীল পদ্ম...
এই ধরনী ভালো থাকুক, ভালোবাসায় থাকুক..
Comments
Post a Comment